স্লোভাকীয় নাচিয়ে সাঁতারু লেনকা ট্যানার। অন্য আর ১০ জন এমন নাচিয়ে সাঁতারুর সাথে এই তরুণীর পার্থক্য হলো- তিনি পানির নিচে মাথা নিচের দিকে এবং পা ওপরের দিকে দিয়ে এমনভাবে সাঁতার কাঁটতে পারেন, যা উলটে দেখলে আপনি দিব্যি মনে করবেন যে কেউ পানির ওপরে হাঁটছেন, যে কাজটি এই আধুনিক বিজ্ঞানের যুগেও কোনো মানুষ আজ পর্যন্ত করে দেখাতে পারেননি!
এটি এমন এক ধরনের শারীরিক কসরত, যার উল্লেখ রয়েছে বাইবেলেও- পানির পৃষ্ঠের মাত্র কয়েক সেন্টিমিটার নিচ থেকে ওপরের দিকে পায়ের তালু এমনভাবে স্থাপন করা, যা দেখে মনে হয় এক নারী অবিশ্বাস্যভাবে পানিতে হাঁটছেন। অথচ দেখতে যা মনে হবে, বিষয়টি তেমন নয় মোটেও!
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এই কসরতটি করে দেখিয়েছেন ২৮ বছর বয়স্ক তরুণী ট্যানার। আর এর মাধ্যমে নিজের পরিচিত আরো বাড়ানোর আশা করছেন তিনি। ২০১০ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যামে বাস করছেন লেনকা ট্যানার। তিনি বলেন, ‘’আমার জন্য এই ‘পানির ওপর হাঁটা’ মোটেই কঠিন কিছু নয়। কারণ এটা আমি চর্চা করছি ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে।‘
তিনি আরো বলেন, ‘আমার জন্য মূল বিষয় হলো এটাই- যেন আমি খেলাধূলাটাকে নতুন এক মাত্রায় নিয়ে যেতে পারি।’’ ৩০-এর কোঠায় পা রাখতে যাওয়া এই তরুণীর গোপন রহস্যটি হলো- পানির নিচে উলটো হয়ে থেকে সমতলে হাঁটার ভঙ্গিমায় কসরত করা। এর জন্য প্রথমে পানিতে নেমে পড়েন তিনি, ডুবসাঁতার দিয়ে পানির নিচে চলে যান এবং নিচ থেকে উলটো হয়ে গিয়ে পানির পৃষ্ঠের দিকে পা তুলে দিয়ে হাঁটার ভঙ্গি করেন।
লেনকা ট্যানারের নিজের একটি নাচিয়ে সাঁতারুর দলও রয়েছে, নাম অ্যাকুয়াস্টার্স। নটিংহ্যামভিত্তিক একটি অবকাশকেন্দ্রে তার দল নিয়ে এই চর্চা করেন তিনি। গর্ভাবস্থায় মায়ের পেটে থাকা শিশু কেমন থাকে, তাও পানির নিচে কসরত করে নিপুণ ভঙ্গিমায় দেখিয়েছেন তিনি। নিজের এই দক্ষতাগুলো এখন অল্পবয়সী তরুণ-তরুণীদের মধ্যে পৌঁছে দেয়াই তার উদ্দেশ্য।
ছয় বছর বয়স থেকে এ ধরনের কসরতের চর্চা করে আসছেন লেনকা। সম্প্রতি বিজ্ঞাপনের জগতের ঢেউ তুলতে শুরু করেছেন তিনি। প্রথম বিজ্ঞাপনের জন্য অবকাশে বিদেশ ভ্রমণে সহায়তাকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কুওনির হয়ে প্রচারণা চালাতে সুদূর সমুদ্রকন্যা মালদ্বীপে উড়ে গিয়েছেন এই ‘জলকন্যা’!
wow nice. see more here https://www.corporatesangbad.com/
উত্তরমুছুন